সুনামগঞ্জ , শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ২১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
৩ দিন ধরে নিখোঁজ, নদীতে মিলল জমিয়ত নেতার মরদেহ সীমান্তে ২৩টি ভারতীয় গরু জব্দ দিরাইয়ে তিন ভাগে বিভক্ত বিএনপি শীঘ্রই একটি নির্দিষ্ট সময় হাওরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে : উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ঈদে মিলাদুন্নবীর গুরুত্ব ও তাৎপর্য সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো অবৈধ স্থাপনা দিরাইয়ে বিএনপি’র শোভাযাত্রায় নেতাকর্মীদের ঢল দিরাইয়ে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩ দুই ছাত্রীকে অপহরণ, নির্যাতন ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ দায়িদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিতে জুডিসিয়াল তদন্ত কমিটি গঠন তৎকালীন আইজিপির বর্ণনায় ৫ আগস্ট সরকারিপ্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন জামালগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন সুনামগঞ্জ হাসপাতালে ১২ ধরনের আড়াই কোটি টাকার ওষুধ মেয়াদোত্তীর্ণ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে জুলাই গণহত্যা : রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুন শিক্ষাক্ষেত্রে সুনামগঞ্জকে এগিয়ে নিতে সবার সহযোগিতা চাই : জেলা প্রশাসক অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ না করার নির্দেশ দিলেন জেলা প্রশাসক স্ত্রীর সাথে অভিমান করে স্বামীর আত্মহত্যা প্রকৌশলী কামরুল হকের মৃত্যু নিয়ে রহস্য স্বজনদের দাবি ‘পরিকল্পিত হত্যা’ বিএনপি’র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

শহরের খালগুলো উদ্ধারে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

  • আপলোড সময় : ১৪-০৭-২০২৫ ০৯:০০:৩০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৪-০৭-২০২৫ ০৯:০০:৩০ পূর্বাহ্ন
শহরের খালগুলো উদ্ধারে কার্যকর পদক্ষেপ নিন
সুনামগঞ্জ শহরের খালগুলো একসময় ছিল এর প্রাণসঞ্চারী শিরা-উপশিরার মতো। কামারখাল, বলাইখাল, তেঘরিয়া খাল, বড়পাড়া খাল, নলুয়াখালি খাল, ধোপাখালি খাল ও গাবরখালি খাল - এই সাতটি খাল শুধু পানি নিষ্কাশনের মাধ্যমই ছিল না; এগুলো পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য ও শহরের ভারসাম্য রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ছিল। দুঃখজনক হলেও সত্য, ধারাবাহিক প্রশাসনিক অবহেলা, প্রভাবশালীদের দখলদারিত্ব এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে খালগুলো আজ অস্তিত্ব হারানোর পথে। ২০২৩ সালের ১৫ জুলাই জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার উদ্যোগে যে খাল উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছিল, তা ছিল জনমনে আশার সঞ্চারকারী। দেড় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রশাসন একটি সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছিল। কিন্তু সেই অভিযান অল্প সময়ের মধ্যেই থেমে যায়। তার ফলস্বরূপ, খালগুলো আবারও বেদখলে চলে গেছে- লাল দাগ মুছে ফেলে, নতুন করে স্থাপনা গড়ে তোলে খাল গিলে খাচ্ছে দখলদাররা। উদ্বেগজনক হলো, এসব অবৈধ দখলের সঙ্গে জড়িত রয়েছে প্রভাবশালী বাসিন্দা, পৌরসভা পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এমনকি সরকারি ও ধর্মীয় স্থাপনাও। এই অবস্থা কেবলমাত্র প্রশাসনিক ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি নয়, বরং এটি আমাদের সামষ্টিক মূল্যবোধ ও নাগরিক দায়িত্ববোধের প্রশ্নও তুলে ধরে। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এর আইনি উদ্যোগ ও আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও খাল উদ্ধারে প্রশাসনিক ধারাবাহিকতা না থাকায় দখলদারদের সাহস বেড়েছে। তারা জানে, দুদিনের উচ্ছেদের পর কর্তৃপক্ষ আর ফিরে তাকায় না। তাই অবাধে তারা আবারো দখলে নামে। আমরা মনে করি, অভিযান কেবল খাল উদ্ধারে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না; এটি হতে হবে একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনার অংশ। অসচ্ছল দখলদারদের পুনর্বাসনের বিকল্প ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ করলে মানবিক সংকট তৈরি হয়। এটি দখল পুনরাবৃত্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। খালপাড় সংরক্ষণ ও বনায়ন উচ্ছেদকৃত জায়গায় দ্রুত গাছ লাগানো ও খালপাড়ের স্থায়ী ঘেরা বাঁধ দিলে আবার দখলের সাহস পাবে না কেউ। এছাড়া খাল দখলকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করে কঠোর আইন প্রয়োগ জরুরি। সুনামগঞ্জকে একটি বসবাসযোগ্য, পরিচ্ছন্ন, পরিবেশবান্ধব শহর হিসেবে গড়ে তুলতে হলে খাল উদ্ধার কেবল জরুরি নয়- এটি একান্ত অবশ্যম্ভাবী। এখন আর আশ্বাসে নয়, জনগণ চায় কার্যকর পদক্ষেপ। তাই সময় এসেছে শক্ত অবস্থান গ্রহণের - না হলে অচিরেই এই শহরের নামও কেবল একটি ডুবে যাওয়া স্মৃতি হয়ে থাকবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
৩ দিন ধরে নিখোঁজ, নদীতে মিলল জমিয়ত নেতার মরদেহ

৩ দিন ধরে নিখোঁজ, নদীতে মিলল জমিয়ত নেতার মরদেহ